আপনিও সহজ উপায়ে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে পারেন Gold ও Index Fund - এ

 

money invest talk

স(caps)ময় নেই Analysis করার ? মাসে শুধু 1 ঘন্টা সময় দিয়ে খুব সহজ উপায়ে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের কৌশল শিখুন

💥 আমরা সবাই জানি যে শেয়ার বাজারে Invest করলে ব্যাংকে Savings, Fixed Deposit, Post Office বা অন্য যে কোনো Policy এর থেকে অনেক বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। কিন্তূ আমরা এটা জেনেও করতে পারিনা।

  • কারণ কি ?

কারণ হল, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য আমাদের মধ্যে এই সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞান থাকা দরকার, যেটা আমাদের সবার মধ্যে থাকে না। সেই কারণেই আমরা বাজারে বিনিয়োগ করতে ভয় পাই। আর সেটাই স্বাভাবিক।

কিন্তূ আপনি কি জানেন যে শেয়ার বাজার সম্পর্কে আপনি কিছু না জানলেও আপনি শুধুমাত্র বিশেষ কয়েকটি নিয়ম মেনে নিজে বিনিয়োগ করে মুনাফা করতে পারবেন ? আপনাকে শেয়ার বাজার সম্পর্কে কোনো খবরের কাগজ পড়তে হবে না, TV দেখতে হবে না, কোম্পানির Balance Sheet বা PnL Statement পড়তে হবে না। SensexNifty ওপরে উঠলো নাকি পড়লো আপনাকে সে বিষয়েও কোনো দুশ্চিন্তা করতে হবে না।  শুনে হয়তো আপনার বিশ্বাস হচ্ছে না, তাই না ? মনে হচ্ছে এটা অসম্ভব। কিন্তু এটা খুব সম্ভব আর যে কেউ এটা করতে পারেন। আর কিভাবে সেটা করতে পারেন তার ওপরেই এখানে আমরা আলোচনা করবো।

👉 আপনাকে আমার কথা বিশ্বাস করতে হবে না। শুধু নিচের তথ্য গুলোতে এক ঝলক নজর বুলিয়ে GoogleSearch করে যাচাই করে নেন, তাহলে আপনিও সহজেই বুঝে যাবেন যে এটা সম্ভব কি অসম্ভব। আর সম্ভব হলে সেটা কিভাবে সম্ভব।


✅ এখানে আপনি কি কি শিখবেন:

       ☀ 1. Index Fund বা ETF কি ?

       ☀ 2. প্রতি মাসে শুধুমাত্র একটি রবিবার 1 ঘন্টা সময় দিয়ে কিভাবে শেয়ার বাজারে সফল ভাবে বিনিয়োগ করবেন

       ☀ 3. আপনার নিজের Retirement বা সন্তানের পড়াশোনার জন্য কিভাবে শেয়ার বাজারে Fund তৈরি করবেন

       ☀ 4. কিভাবে আপনি Gold আর Index Fund এ বিনিয়োগ করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বা Inflation কে Beat করবেন

       ☀ 5. এটা করার জন্য সহজতম কি কি নিয়ম আপনাকে মেনে চলতে হবে

     👉 শেয়ার বাজারে Equity, Commodity, Currency, Option, Future, Mutual Fund অনেক প্রকারের Instrument আছে। এগুলো থেকে তারাই রোজগার করে যারা Market এ কাজ করার দক্ষতা অর্জন করেছে। আর এই দক্ষতা অর্জন করতে মোটামুটি 3 থেকে 10 বছর লাগে। যদিও বিভিন্ন ব্যাক্তির ক্ষেত্রে এই সময়টা আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।

তবে এগুলো প্রয়োজন যদি কেউ Full time বা Part time Trading করতে চাই। কিন্তু যদি আপনি ঠিক করেন যে আপনি শুধু মাত্র দীর্ঘ সময়ের জন্যই বিনিয়োগ করবেন তাহলে আপনাকে এতটা সময় ও পরিশ্রম কোনটাই দিতে হবে না। আপনাকে শুধুমাত্র প্রতি মাসের যে কোনো একটি রবিবার শুধু মাত্র 1 ঘন্টা সময় দিতে হবে।

✋ তবে মনে রাখবেন যে আপনাকে অবশ্যই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। আর এখানে আমি দীর্ঘ মেয়াদি বলতে কম করে 7 থেকে 20 বছরের জন্য বিনিয়োগ করার কথা বলছি। অতীতের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দ্যাখা যায় যে যদি আপনি সাত বছরের কম সময়ের জন্য বাজারে আসেন তাহলে এই পদ্ধতির মাধ্যমে বাজার থেকে আশানুরূপ লাভ করার সম্ভাবনা কম।


★ তাহলে চলুন আমরা এই সহজ বিনিয়োগের নিয়মাবলি গুলো জানি।

  • আপনি শেয়ার বাজারে GOLD-এ নিশ্চিন্তে Invest করতে পারেন :

আমাদের মধ্যে অনেকেই জানি না যে শেয়ার বাজারে GoldInvest করা যায় খুব সহজেই আর কোনো দুশ্চিন্তা ছাড়াই। আর এই বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে একপ্রকার না জানা থেকে যায়।

আমরা সবাই জানি যে সময়ের সাথে Gold এর দাম বাড়তে থাকে। কারণ সোনার চাহিদা যুগযুগ ধরে আছে এবং বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে আমরা খুব বেশি সোনার খনি আবিষ্কার করতে পারিনি। স্বাভাবিক ভাবেই সরবরাহ (Supply) কম, আর চাহিদা (Demand) অনেক বেশি। আর এই ভারসাম্যহীনতা যুগ যুগ ধরে চলেই আসছে। তাই আমাদের এটা আশা করা খুব একটা অযৌক্তিক হবে না যে এই ভারসাম্যহীনতা ভবিষ্যতেও চলতে থাকবে।

gold investment share market talk
Click on picture for large view

আমরা একটা সহজ হিসাবের সাহায্যেই বুঝতে পারি যে সোনার দাম সময়ের সাথে কিভাবে বাড়ে বা অতীতে বেড়েছে। আপনি যদি ইন্টারনেটে দ্যাখেন তাহলে দেখতে পাবেন যে 1973 সালে 10 গ্রাম সোনার দাম ছিল 1678 টাকা। আর আজকের দিনে (Feb, 2022)10 gm সোনার দাম হল মোটামুটি 50,000 টাকা। এই সংখ্যা গুলো থেকে যদি আপনি প্রতি বছরের বৃদ্ধির হার বের করতে চান তাহলে এটা চক্রবৃদ্ধি অংকের নিয়মে বের করতে হবে।

তাহলে মোট বছরের সংখ্যা হল -
2022 - 1973 = 49 বছর।

আর 49 বছরে সোনার দামের বৃদ্ধি হয়েছে
50,000 - 1,678 = 48,322 টাকা।

তাহলে বছরের হিসাবে প্রতি বছর চক্রবৃদ্ধির হার হল 7.3 %.

এটার মানে হল আপনি যদি আজ থেকে 48 বছর আগে 1678 টাকার সোনা কিনতেন তাহলে আপনি 10 গ্রাম সোনা পেতেন। আর আজকে সেই 10 গ্রাম সোনা বাজারে বিক্রি করলে 50,000 টাকা পেতেন। তাহলে আশা করি বুঝতে পারলেন।

এখন 48 বছর হয়ত আমাদের কাছে অনেক লম্বা সময় মনে হতে পারে। কিন্তু আমরা 10 বা 20 বছরের জন্য তো চিন্তা করতেই পারি।

আমরা Gold এ Invest করা বলতে সোনার অলঙ্কার কিনে ঘরে রাখাটাই বুঝি। কিন্তু আমরা এই ক্ষেত্রে অংকটা সঠিক ভাবে বোঝার চেষ্টা করিনা। কারণ আমরা যখন সোনার অলঙ্কার কিনি, তখন তাতে Making Cost বা মজুরি হিসাবে আমাদের একটা বড় অঙ্কের টাকা দিতে হয়। আবার সোনার বার কিনলে আপনাকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ব্যাংকে Locker ভাড়া করতে হবে। আর যদি বাড়িতে রাখা যায় তাহলে চুরি হওয়ার বিপদ থাকে। আপনাকে আমি এর থেকে খুব সহজ উপায়ে GoldInvest করার পদ্ধতিটি বলব। সেটার নাম হল Gold ETF.

gold invest share market talk
Click on picture for large view

  • কিভাবে Invest করবেন Gold ETF এর মাধ্যমে ?

শেয়ার বাজারে Gold এর জন্য একটা Index আছে। এটা কিছুই না, 10 গ্রাম সোনার দাম রোজ কিভাবে ওঠানামা হচ্ছে তার একটা ইতিহাস। আর এর উপরে কিছু Fund আছে যেগুলোকে Index Fund বলা হয়। আর যে Fund গুলো শেয়ার বাজারে আপনি নিজে কেনা বেচা করতে পারেন আপনার Demat Account থেকে সেগুলোকে ETF বা Exchange Traded Fund বলা হয়।

বিভিন্ন Index এর ওপর নির্ভর করে Index Fund বিভিন্ন নামে বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। Gold Index এর ওপর ভিত্তি করে যেগুলো আছে সেগুলোকে বলা হয় Gold ETF. এবাদেও আছে Nifty Index ETF, Sensex ETF, BankNifty ETF ইত্যাদি।

Gold ETF এ বিনিয়োগ করা আর বাজার থেকে Gold কিনে ঘরে রাখা, দুটো একেবারেই সমতুল্য ব্যাপার। সোনার দাম যে হারে বাড়বে বা কমবে আপনার নিযুক্ত টাকাও সেই হারেই বাড়বে বা কমবে। আর এটি করার জন্য যে আপনাকে এক সঙ্গে অনেক টাকা বিনিয়োগ করতে হবে তাও নয়। এতে আপনি চাইলে আজকের দিনে মোটামুটি সর্বনিম্ন 50 টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ যে কোনো পরিমান টাকা লাগাতে পারেন। এবং সেটা কয়েক লক্ষ্য থেকে কয়েক কোটি টাকাও হতে পারে। টাকার পরিমাণ এখানে কোনো সমস্যা নয়।

আবার আপনি প্রতি মাসে আপনার সাধ্য মত অল্প অল্প করেও Gold ETF এ বিনিয়োগ করতে পারেন। আবার হয়তো প্রতি মাসে না করলে বছরের যে কোনো সময় বা যে কোনো দিন, যখন হয়তো আপনার কাছে টাকা থাকবে আপনি তখন আপনার প্রয়োজন মত টাকা লাগাতে পারেন।

golod etf share market talk
Click on picture for large view

সোনার দাম যদি বাড়ে তাহলে আপনার টাকা বাড়বে। আর সোনার দাম যদি কমে তাহলে আপনার টাকাও কমবে। কিন্তু আপনি জানেন যে সময়ের সাথে সাথে সোনার দাম বাড়তে থাকে। ইতিহাস সেটা বলছে। আর কমলেও হয়তো কয়েক মাসের জন্য খুব সামান্য কমে আবার উঠে যায়।

আপনি এগুলোকে যখন ইচ্ছে কিনতে পারেন আবার যখন ইচ্ছে বেচতে পারেন। কোনো বাধ্যবাধকতা নেই কতদিন রাখবেন তার ওপর।

এই ETF গুলোকে বিভিন্ন Mutual Fund কোম্পানি চালায়। যেমন Nippon Gold ETF, SBI Gold ETF, HDFC, UTI, KOTAK, AXIS, ICICI, BIRLA ইত্যাদি। এছাড়াও অন্যান্য প্রায় সমস্ত Mutual Fund কোম্পানিরই Gold ETF আছে। আপনি আপনার ইচ্ছে মত যে কোনো একটাই শুরু করতে পারেন।

এর মধ্যে সব থেকে বড় আর Liquid হল GoldBees এবং আমি আপনাকে GoldBees এই Invest করার কথা বলব। কারন এটা সবথেকে Liquid বা আপনি যখনই কিনতে বা বেচতে চাইবেন বাজারে আপনাকে বেচার জন্য বা আপনার কাছে কেনার জন্য কেউ না কেউ থাকবে।

Gold এ বিনিয়োগ করা হল পৃথিবীর মধ্যে সব থেকে Stable আর নিরাপদ বিনিয়োগ। এর থেকে বড় গ্যারান্টি আপনাকে RBI বা Indian Govt কেউ দিতে পারবে না। কারণ তারাও সোনার দামের ওপর নির্ভরশীল।

  • Index Fund (NiftyBees, BankBees, Nasdaq100) :

এর পরে আমার সব থেকে বেশি পছন্দের Instrument হল Index Fund.

আমেরিকার একজন John Bogle নামক ব্যাক্তি এই Index Fund এর ওপর বিনিয়োগ কে আবিষ্কার করেন এবং তিনিই প্রথম S&P 500 এর ওপর Vanguard-500 বলে একটা ফান্ড চালু করেন যেটা আমেরিকায় খুব বড় সফলতা অর্জন করে। Vanguard Group হল তার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির নাম। তিনি Index Fund এর ওপর উনার গবেষণার ফলাফল "Common Sense on Mutual Funds: New Imperatives for the Intelligent Investor" বলে একটি বই লিখেন। যেখানে এর মহত্ত্বের ব্যাপারে আরো জানতে পারবেন। স্বাভাবিক ভাবেই আমি আপনাকে উপরে উল্লেখিত বইটি পড়ার পরামর্শ দেবো।

এটিকে Passive Investing বলা হয় কারণ কোনো Fund Manager এটাকে নিয়ন্ত্রণ করেন না বলে।

আপনি Sensex আর Nifty এর নাম নিশ্চয় শুনেছেন। এগুলো হল আমাদের ভারতবর্ষের সব থেকে বড় দুটো Index এবং একে আমাদের দেশের অর্থনীতির ব্যারোমিটারও বলা হয়। কারন দেশের অর্থনীতি ভালো হলে এরা বাড়ে আর খারাপ হলে কমে যায়। মানে দেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্য কেমন আছে সে ব্যাপারে আমাদের বলে।

যদি এদের ইতিহাস দেখি তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন। 1979 সালে প্রথম Sensex চালু হয় 100 পয়েন্ট থেকে। আজকে প্রায় 43 বছর পর এটা 60,000। এর মানে হল আপনি যদি 43 বছর আগে Sensex ETF এ মাত্র 100 টাকা বিনিয়োগ করতেন তাহলে সেটা আজকে 60,000 টাকা হত। মানে 600 গুন। যেটা হিসাব করলে হয় গড় 16% প্রতি বছর। কোনো সময় না দিয়ে, কোনো অতিরিক্ত পরিশ্রম না করে, কোনো প্রকার মাথা না লাগিয়ে যদি এরকম রিটার্ন পাওয়া যায় তাহলে এর থেকে অসাধারণ Investment আমার জানা আর কিছু হয়না যেটা Liquid.

এবাদেও আমাদের দেশে আরেকটি বড় Index আছে যেটা হল Nifty50. এটি ভারত বর্ষের সব থেকে বড় 50 টি কোম্পানি নিয়ে তৈরি। এটি 1995 সালে যখন চালু হয় তখন এর মান ছিলো 1000. আর আজকে মোটামুটি 25 বছর পর সেটা 18000. এর মানে হল আপনার 1000 টাকা গত 25 বছর পর আজকে 18000 টাকা হত। মানে 18 গুন। অসাধারণ রিটার্ন যদি আপনি লম্বা সময়ের কথা চিন্তা করে বিনিয়োগ করেন। গড়ে প্রতি বছর 11.3% চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়েছে।

আপনি এই Index Fund এও বিনিয়োগ করতে পারেন। NiftySensex এর ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন Mutual Fund কোম্পানির বিভিন্ন ETF আছে। যেমন আমরা Gold ETF এ দেখলাম।

তবে এক্ষেত্রেও আমি আপনাকে সব থেকে বেশি Liquid Fund NiftyBees কেনার কথা বলব একই কারণে। তবে আপনি চাইলে অন্য যে কোনো ETF এ বিনিয়োগ করতে পারেন। এরা সবাই একই Result দেবে।

Bank Nifty এর ওপর ভিত্তি করে Bank Bees আছে সেখানেও আপনি বিনিয়োগ করতে পারেন আপনার মোট Investment এর কিছু অংশ।

এগুলো আমরা আমাদের দেশের মধ্যে কিভাবে করা যায় সেটা আলোচনা করলাম। এবার আপনি যদি আর একটু বেশি জানতে চান তাহলে বলব Nasdaq100 এর দিকে একটু নজর দিতে পারেন। এটা হল আমেরিকার একটি বড় Index যেখানে Apple, Amazon, Google, Facebook, Tesla এর মত পৃথিবীর সব থেকে বড় বড় কোম্পানি গুলো Listed আছে। Motilal Oswal Nasdaq 100 ETF হল Motilal Oswal Mutual Fund এর একটি ETF. যেটি NASDAQ100 কম্পানির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। আপনি এটাতে যে টাকাটা লাগাবেন সেটা Motilal Oswal আমেরিকার Nasdaq এর কোম্পানিতে নিয়োগ করবেন। সুতরাং আমেরিকার Nasdaq যেভাবে উঠবে বা পড়বে আপনার Investment ও সেই হারে উঠবে বা পড়বে। বর্তমানে আমেরিকার শেয়ার বাজার পৃথিবীর সমস্ত দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি Return দেয়। আর এখানে আপনি আরেকটা সুবিধা পাচ্ছেন সেটা হল Dollar Investment. আপনি যে টাকাটা NasdaqInvest করছেন সেটা Dollar এ করছেন। আর Dollar এর দাম সময়ের সাথে বাড়ে আমাদের ভারতের Rupee এর তুলনায়। সুতরাং আজ থেকে 10 বছর পর যখন আপনি আপনার ETF বেচবেন তখন আপনি সেটা Dollar এ পাবেন। আর তখন Dollar থেকে যখন Rupee-তে বদলাবেন তখন সেখানেও আপনি লাভ করবেন।


  • ✅ সতর্কতা :

এটা যদি আপনি Long time এর জন্য করতে পারেন তাহলে ঠিক আছে। আর Long Time মানে ন্যূনতম সাত বছরের বেশি। এর থেকে যত বেশি সময় চালাবেন তত বেশি Return পাবেন। কারণ তখন Compounding এর সুবিধাও পাবেন যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর যদি কয়েক মাস বা শুধু কয়েক বছরের জন্য করতে চান তাহলে না করাই ভালো, কারণ আপনি আশানুরূপ ফল পাবেন না। কারণ শেয়ার বাজারে মোটামুটি ভাবে প্রতি 5 বছরের মধ্যে একটা 10% বা এর বেশি Correction আসে। আর প্রায় প্রতি 10 বছরের মধ্যে মোটামুটি একটা 25% থেকে 50% এর Correction আসে। আর এই দুই সময় বাজার অনেকটা নিচে নেমে যায়। তাই দুই বা তিন বছরের জন্য এটা করলে আপনার কিছুটা লোকসানও হতে পারে।

  • Pro-tips :

আমি ধরে নিলাম যে আপনি 10, 15 বা 20 বছরের জন্য অল্প অল্প করে বিনিয়োগ করতে থাকবেন। এর সাথে সাথে যদি আপনি আমার আরেকটা কথা মানতে পারেন তাহলে আপনার Investment এর ওপর মোট Return কে বেশ কয়েক শতাংশ বেশি বাড়াতে পারবেন। আর সেটা খুব কম হলেও স্বাভাবিক Return এর উপরে 5% মত বাড়াতে পারবেন।

এখন প্রশ্ন হল কিভাবে ?

একটু আগেই বললাম শেয়ার বাজারে মোটামুটি ভাবে 5 বছরে 1 বার 10 থেকে 15% আর 10 বছরে 25 বা 50% Correction আসে। ওই সময়টা হল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। বেশির ভাগ লোক ভয় পেয়ে সব বেঁচে দিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তূ আপনিও সেটাই করলে হবে না। আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হল ওই সময় ভয় না পেয়ে আপনি যতটা পারবেন আরো বেশি পরিমাণ বিনিয়োগ করুন। তাহলে আপনার কেনা দাম গড় হিসেবে অনেক কমে যাবে। স্বাভাবিক ভাবেই বাজার যখন Normal ছন্দে ফিরে আসবে আপনার Return অনেক বেড়ে যাবে। আর বাজার নরমাল ছন্দে ফিরে আসবেই সেটা ইতিহাস বলছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে Gold এ করবেন নাকি Index এ করবেন ?

Gold হচ্ছে সব থেকে Stable. শেয়ার বাজারে যখন ধস নামে Gold এর দাম তখন সব থেকে বেশি বাড়ে। আর যখন Index খুব ভালো চলে তখন Gold খুব একটা Return দেয় না। তাই আমার পরামর্শ হল যদি আপনি প্রতি মাসে 1500 টাকা বিনিয়োগ করতে চান তাহলে 500 টাকা Gold ETF কিনুন, 500 টাকা Indian Index Fund কিনুন আরে 500 টাকা Nasdaq100 এ লাগান। তাহলে সব দিকে একটা ব্যালান্স থাকবে।

শুধু যদি এটাই নিয়ম মেনে করতে থাকেন তাহলেই যথেষ্ট। এর বাইরে আপনাকে কিছু পড়তে বা দেখতে হবে না। আপনাদের মধ্যে যে আজকে আমার এই পরামর্শ নেবেন আর যে নেবেন না, আপনারা দুজনেই আজ থেকে 10 বা 20 বছর পর আমার কথা মনে করবেন।

এখানে সব থেকে মজার ব্যাপার টা হল বাজার যখন নিচে যাবে তখন Gold আর Index FundAverage করলে কোনো সমস্যা নেই। আপনি যত খুশি Average করতে পারেন। বরং গড় করাটা এই ক্ষেত্রে ভালো বলে গণ্য করা হবে। যেখানে Trading এর ক্ষেত্রে এটা সম্পূর্ণ উল্টো। Trading Loosing Position এ গড় করা হল একজন অপরিপক্ক Trader এর লক্ষণ।

আর এটা শুধু যে আমি আপনাকে বলছি তেমন নয়। আমি তাই বলি যেটা আমি নিজেও করি। আমি আমার ছেলের জন্য এই Fund গুলোতে বিনিয়োগ করি আমার Reguler Trading এর সাথে সাথে। কারণ এটা হল এমন একটা Investment যেটাই আমি কোনো অবস্থাতেই হাত দিতে চাইনা না যতদিন আমার ছেলের জন্য মোটামুটি 20 বা 30 বছর পর প্রয়োজন হবে।

আশা করি আমি আপনাকে সহজ ভাবে বোঝাতে পেরেছি। এটা সমস্ত প্রকার মানুষের জন্যই লেখা। তাই আপনার ভালো লাগলে নিজের বাবা মা পরিচিত আত্মীয় ও বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করে আমাদের উৎসাহিত করুন।

💥 আমাদের Trading Course এর জন্য যোগাযোগ করুন WhatsApp এর মাধ্যমে।

😊 Let's be Friend -

Youtube Channel (Bengali) - Share Market Talk 👈 Click Here

Youtube Channel (Hindi) - Money Invest Talk 👈 Click Here

Telegram - Share Market Talk 👈 Click Here

Whatsapp - Share Market Talk 👈 Click Here

Twitter - Share Talks 👈 Click Here




*****************


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
  1. খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরে খুশি হোলাম।

    উত্তরমুছুন

Youtube