শেয়ার বাজারে বিভিন্ন কোম্পানি কেনো IPO নিয়ে আসে

 

Why different companies bring IPO in stock market
Click on this Image to see large View

ব্যাবসা ছোট বা বড় যে কোনো প্রকারের হতে পারে। যে কোনো ব্যাবসা শুরু করার জন্য প্রাথমিক কিছু পুঁজি বা টাকার দরকার হয়। যাকে Capital Investment বলা হয়। কারণ ব্যাবসা করার জন্য আপনার একটা জায়গা দরকার, কিছু লোকজন দরকার, প্রয়োজনীয় Infrastructure দরকার। আপনার ব্যাবসার Size বা আকারের ওপর নির্ভর করে Capital Investment কয়েক হাজার বা কয়েক লক্ষ্য থেকে শুরু করে কয়েক কোটি বা কয়েকশো কোটি বা তার থেকেও বেশি টাকার প্রয়োজন হতে পারে। আপনি যদি একটি ছোট চা, কাপড় বা মুদির দোকান খুলতে চান তাহলে হয়তো খুব বেশি হলে কয়েক হাজার থেকে কয়েক লক্ষ টাকা Invest করতে হবে। কিন্তু উদাহরণ স্বরূপ আপনি যদি আজকে একটা Steel Manufacturing Plant বা মোবাইল কোম্পানি, বা যে কোনো বড় কারখানা খুলতে চান তাহলে আপনাকে Investment কয়েক কোটি থেকে শুরু করে কয়েকশো কোটি টাকা করতে হবে।


আপনি একটি ছোট ব্যাবসা নিজের টাকা বা বন্ধু বা আত্মীয়দের সাথে সবাই মিলে শুরু করতে পারলেও অনেক বড় ব্যাবসা যেগুলোতে কোটি কোটি টাকার প্রয়োজন হয়, তার জন্য কোনো একজন ব্যাক্তি বা পরিবার বেশিরভাগ সময় অতটা টাকার যোগান দিতে পারেন না। সেই জন্য আপনি হয়তো ছোট আকারে সুরু করলেন। তারপর যখন আপনার ব্যবসা মোটামুটি দাড়িয়ে গেলো এবং আপনি আপনার ব্যাবসা আরো বড়ো করতে চান আর সেই জন্য আরো বড় বিনিয়োগ দরকার তখন আপনার কাছে কয়েকটি উপায় আছে। আপনি ব্যাংকে থেকে লোন নিতে পারেন। কিন্তু তার জন্য ব্যাংক আপনার কাছে সুদ চাইবে।


কারণ ব্যাংকের একমাত্র ব্যাবসা হল আপনার আমার কাছে সেভিংস বা ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে যে টাকাটা ব্যাংক পাই সেই টাকাকে বেশি সুদে লোন দিয়ে লাভ করা। দুনিয়ার সমস্ত ব্যাংক এই সুদের ব্যাবসার ওপরেই দাড়িয়ে আছে। ব্যাংক আমাদের সেভিংস অ্যাকাউন্টে ২% থেকে ৩% মত আর ফিক্সড ডিপোজিট এর ওপর ৩% থেকে ৫% সুদ দেই। যদিও এগুলো সময়ের সাথে বদলাতে থাকে। কিন্তু ব্যাংক হোম লোন বা কোম্পানিকে লোন দেন ১৫% থেকে শুরু করে ২৫% শতাংশের কাছে। তাহলে নিশ্চয়ই হিসেব বুঝতে পারছেন যে ব্যাংক কোথায় থেকে রোজগার করে।


☀  আর দ্বিতীয় উপায়টি হল, আপনি বিভিন্ন প্রাইভেট ফান্ডের কাছে যেতে পারেন। যাদের Venture Fund, Private Equity Fund বা অন্য বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে। কিন্তু মূল বিষয় হল এদের কাছে অনেক টাকা আছে এবং বিনিয়োগের জন্য সঠিক কোম্পানি খুঁজছেন। যদি তারা কোনো কোম্পানিতে ভালো সুযোগ দেখতে পান বা আপনার ব্যাবসার IDEA যদি তাদের ভালো লাগে তাহলে তারা আপনার কোম্পানিতে Invest করবেন। বিনিময়ে তারা আপনার কোম্পানীর কিছুটা ভাগের অংশীদার হবেন।


☀  আর তৃতীয় উপায়টি হল, আপনি আপনার কোম্পানিকে শেয়ার বাজারে লিস্ট করুন। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার কোম্পানীর মূল্যায়ন করে কত শেয়ার কত টাকা দামে দেবেন সেটা নির্ধারণ করবেন রেগুলেটর আর এক্সচেঞ্জ এর নিয়ম মেনে। এরকম কোনো নতুন কোম্পানি যখন শেয়ার বাজারে আসে তখন সেটিকে বলা হয় IPO বা Initial Public Offer. এক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড, রিটেইল ইনভেস্টর সবাই আপনার কোম্পানীর শেয়ার কিনবেন যদি তাদের কোম্পানীর ভবিষ্যত ও দাম ঠিক মনে হয়। এক্ষেত্রে আপনি কোম্পানীর শেয়ার দিয়ে টাকা পেলেন যে টাকা আপনি কোম্পানীকে বড় করার কাজে ব্যাবহার করতে পারবেন।


✅  এটি হল খুব সহজ ভাষায় কোনো কোম্পানি কিভাবে শেয়ার বাজারে প্রথম আসে এবং কেন আসে তার ব্যাখ্যা। ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন আর কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন।


আপনি যদি শেয়ার বাজার সম্পর্কে আরও জানতে চান বা প্রফেসনাল ভাবে শিখতে চান তাহলে নিচে দেওয়া বিভিন্ন লিংকের মাধ্যমে অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন। আর আমাদের Advance Trading Course এ যুক্ত হতে পারেন।

💥 আমাদের Advanced Share Market Mentorship Course 👈 Click Here

😊 Let's be Friend -

★ Whatsapp Call -  +91-8320802986

★ Whatsapp Group - Share Market Talk 👈 Click Here

★ Telegram - Share Market Talk 👈 Click Here

★ Youtube Channel (Bengali) - Share Market Talk 👈 Click Here

★ Youtube Channel (Hindi) - Money Invest Talk 👈 Click Here

★ Twitter - Share Talks 👈 Click Here

★ Email - alamgiripr@gmail.com


                                             *****************

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Youtube